গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে অবস্থিত ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী (Bhawal Raj Shamshanswari) বাংলাদেশের এক প্রাচীন ও ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
চিলাই নদীর তীরে নির্মিত এই স্থাপনাটি মূলত ভাওয়াল জমিদার পরিবারের সদস্যদের দাহক্রিয়া ও সমাধির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়।

প্রায় ৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই শ্মশান চত্বরে রয়েছে মোগল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত একটি শিব মন্দির, বিভিন্ন সমাধিসৌধ, এবং জমিদারদের স্মরণে নির্মিত নামফলক। এর চমৎকার কারুকাজ, শান্ত পরিবেশ ও ঐতিহাসিক পটভূমি একে ইতিহাসপ্রেমী এবং স্থাপত্য অনুরাগীদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

🕰 ইতিহাসের পটভূমি

ভাওয়াল জমিদারদের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলার বজ্রযোগিনী গ্রামের বাসিন্দা।
১৮ শতকের শুরুতে বলরাম রায় প্রথম ভাওয়াল জমিদারি অর্জন করেন এবং তার উত্তরসূরি জয়দেব রায় এর নাম অনুসারে এই এলাকা পরিচিতি পায় জয়দেবপুর নামে।

১৮৫৬ সালে জমিদার কালী নারায়ণ রায় ব্রিটিশ সরকার থেকে “রাজা” উপাধি লাভ করেন।
তার শাসনামলেই নির্মিত হয় ভাওয়াল রাজবাড়ী ও শ্মশানেশ্বরী
জনশ্রুতি অনুযায়ী, ভারতের বিখ্যাত স্থপতি কামাক্ষ্যা রায় এর নকশায় এটি নির্মিত হয়েছিল।

🛕 ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরীর আকর্ষণ

  • মোগল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত শিবমন্দির

  • জমিদার পরিবারের স্মৃতিরক্ষার্থে নির্মিত সমাধিসৌধ

  • শান্তিপূর্ণ ও ঐতিহাসিক পরিবেশ

  • চিলাই নদীর তীরে মনোরম দৃশ্যপট

📍 কিভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী বাসে শিববাড়ী পর্যন্ত যেতে হবে।
সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশা করে ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী পৌঁছানো যায় (দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার)।

🏨 কোথায় থাকবেন?

ঢাকার খুব কাছেই হওয়ায় দিনে গিয়ে ফিরে আসা যায়।
তবে চাইলে গাজীপুরে অবস্থিত বেশ কিছু রিসোর্ট ও হোটেলে রাত্রিযাপন করা যাবে। যেমন:

  • নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট

  • ছুটি রিসোর্ট

  • ভাওয়াল রিসোর্ট

  • জল ও জঙ্গলের কাব্য

  • সারাহ রিসোর্ট

  • দ্য বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ

  • অঙ্গনা রিসোর্ট

Scroll to Top