হৃদরোগ (Heart Problem)
যদি আপনার হঠাৎ বুক ধড়ফড় করে, বুকের মাঝখানে চাপ লাগে বা ব্যথা হয়, হাঁটার সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, সহজ কাজেও হাঁপিয়ে যান, কিংবা হাত-পা ফোলা ভাব দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ (Neurologist)
আপনি যদি মাথা ঘোরা, খিঁচুনি, শরীরের কোনো অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, স্মৃতিভ্রষ্টতা বা স্ট্রোকের মতো সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন।
ফুসফুস (Pulmonologis)
ঘন ঘন কাশি হয়, কফে রক্ত আসে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা হাঁপানি আছে, কিংবা বুকে বাঁশির মতো শব্দ হয়—এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে ফুসফুসের ডাক্তার দেখাতে হবে।
পেটের রোগ (Gastroenterologist)
পেটে গ্যাস ধরে থাকা, ব্যথা করা, হজমে সমস্যা, খাবারে অরুচি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, ঢেঁকুর বা বুকজ্বালার মতো সমস্যা হলে এই ডাক্তার দেখাতে হবে।
অর্থোপেডিক (Orthopedic )
যদি আপনার হাঁটুর ব্যথা, কোমর ব্যথা, জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, হাড়ে ব্যথা, বসা বা দাঁড়াতে কষ্ট হয়, বা কোনো দুর্ঘটনায় হাড় ভেঙে যায়—তাহলে অর্থোপেডিক ডাক্তারই সঠিক ঠিকানা।
গাইনোকোলজিস্ট (Gynecologist)
মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক, তলপেটে ব্যথা, অতিরিক্ত রক্তপাত, সন্তান না হওয়া বা প্রেগন্যান্সির সময় যেকোনো জটিলতা দেখা দিলে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হয়।
শিশু বিশেষজ্ঞ (Pediatrician)
আপনার বাচ্চা যদি ঘন ঘন জ্বর বা ঠান্ডায় ভোগে, খেতে না চায়, কথা বলা বা হাঁটতে শেখায় দেরি করে, ওজন না বাড়ে—তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞকে দেখানো দরকার।
চোখের ডাক্তার (Ophthalmologist)
চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানো, আলোতে চোখে সমস্যা হওয়া বা চোখ ব্যথা করলে চোখের ডাক্তার দেখানো উচিত।
ইএনটি ডাক্তার (ENT Specialist)
যদি কানে ব্যথা হয়, কানে পানি পড়ে, গলায় ইনফেকশন বা টনসিল হয়, ঘন ঘন হাঁচি বা সর্দি হয়, কিংবা নাক বন্ধ হয়ে যায়—তাহলে ENT ডাক্তার সবচেয়ে উপযুক্ত।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ (Oncologist)
আপনার শরীরের কোথাও চাকা বা গাঁট দেখা দিলে, ক্ষত শুকাতে না চাইলে, শরীর হঠাৎ শুকিয়ে গেলে, কোনো জায়গা থেকে রক্ত পড়লে, বা অজানা ব্যথা থাকলে দ্রুত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ (Dermatologist)
ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, দাগ, চুল পড়ে যাওয়া, টাক হওয়া, নখে দাগ বা ভাঙা দেখা দিলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।