১৯৫৬ সালে ধানমন্ডি লেকের নির্মাণ শুরু হয় এবং এটি ২৪০.৭৪ হেক্টর এলাকায় বিস্তৃত। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে প্রায় ১৬ শতাংশ জায়গা জুড়ে এটি বিস্তৃত, যা আজকের দিনে একটি সুন্দর পর্যটন স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে। লেকটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ কিলোমিটার এবং এটি ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়ক থেকে শুরু হয়ে ২৭ নম্বর সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত।
ধানমন্ডি লেকের আকর্ষণীয় দিক
১. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
ধানমন্ডি লেকের চারপাশে রয়েছে নানা প্রজাতির গাছপালা এবং সুপরিসর হাঁটার রাস্তা। লেকের পাড়ে বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ, যেখানে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
২. রবীন্দ্র সরোবর
ধানমন্ডি লেকের পাশেই অবস্থিত রবীন্দ্র সরোবর, যেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্ট এবং উৎসব আয়োজন করা হয়। এটি ঢাকা শহরের অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
৩. বিনোদন এবং বিশ্রামের স্থান
ধানমন্ডি লেকের পাশে রয়েছে নানা রেস্টুরেন্ট এবং ফাস্টফুড শপ। এখানে বসে মজা করে খাওয়া-দাওয়া করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, আপনি মাছ ধরতে বা বোটে ঘুরতে পারেন।
৪. এলাকার বিভিন্ন নাম
ধানমন্ডি লেকের বিভিন্ন অংশে আলাদা নাম রয়েছে, যেমন – মেডিনোভা চত্ত্বর, জিয়া চত্ত্বর, শুটিং পয়েন্ট, শেখ রাসেল চত্ত্বর এবং বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর ইত্যাদি।
ধানমন্ডি লেকে প্রবেশের নিয়ম
ধানমন্ডি লেকের প্রবেশের জন্য কোনো ফি প্রদান করতে হয় না। আপনি সহজেই ঢাকার যেকোন স্থান থেকে রিকশা, সিএনজি বা বাসে ধানমন্ডি লেকে পৌঁছাতে পারবেন। এটি প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে, তাই আপনি যে কোন সময় এখানে আসতে পারবেন।
ধানমন্ডি লেকের খাবার এবং পানীয়
ধানমন্ডি লেকের চারপাশে রয়েছে নানা ধরনের রেস্টুরেন্ট, ফুড কোর্ট এবং টং দোকান। মজাদার খাবারের খোঁজে আপনি এখানকার ফুড কোর্টে এসে অসাধারণ খাবার খেতে পারেন। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক খাবারের বৈচিত্র্য এখানে উপলব্ধ।
কিভাবে পৌঁছাবেন ধানমন্ডি লেকে?
ঢাকা শহরের যেকোন স্থান থেকে ধানমন্ডি লেকে পৌঁছানো সহজ। সিএনজি, রিকশা বা বাসের মাধ্যমে আপনি দ্রুত এখানে পৌঁছাতে পারবেন।
সার্বিকভাবে ধানমন্ডি লেকের গুরুত্ব
ধানমন্ডি লেক ঢাকার একটি শান্তিপূর্ণ এবং মনোরম গন্তব্যস্থল, যা ভ্রমণকারীদের জন্য এক স্বপ্নের মতো। এটি শুধুমাত্র এক প্রাকৃতিক স্থান নয়, বরং ঢাকার সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।