সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি অন্যতম ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। রমনা রেসকোর্স ময়দান হিসেবে খ্যাত এই স্থানটি আজকের দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত এবং এখানে ঘন সবুজ বৃক্ষ আর সুশীতল ছায়া নিয়ে একটি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অন্যতম কেন্দ্রস্থল। এখানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেন, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পথপ্রদর্শক হিসাবে বিবেচিত। এছাড়া, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই উদ্যানে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত মুহূর্ত ছিল।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দর্শনীয় স্থানসমূহ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কেন্দ্রে অবস্থিত শিখা চিরন্তন এবং স্বাধীনতা স্তম্ভ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এখানে প্রতিষ্ঠিত। এছাড়াও এর আশেপাশে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, যেমন:

  • পুরানো হাইকোর্ট ভবন

  • তিন নেতার মাজার

  • বাংলা একাডেমী

  • পরমাণবিক শক্তি কমিশন

  • টিএসসি (ট্রেডিং সেন্টার)

  • চারুকলা ইনস্টিটিউট

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ

  • জাতীয় কবির সমাধি

  • পাবলিক লাইব্রেরি

  • বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর

  • রমনা পার্ক ও শিশু পার্ক

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিভাবে যাবেন?

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসার পর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের বিপরীতে অবস্থিত ছবির হাটের গেট থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করা যায়। সহজ যানবাহন ব্যবস্থা এবং কেন্দ্রিয় অবস্থানের কারণে এটি খুব সহজেই যেকোনো পর্যটক বা দর্শনার্থীর জন্য প্রবেশযোগ্য।

কেন যাবেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে?

  • ঐতিহাসিক স্থানের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য

  • শহরের মাঝে প্রকৃতির শান্তি উপভোগ করার জন্য

  • বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ঘুরে দেখার জন্য

  • পরিবারের সাথে পিকনিক বা বাচ্চাদের নিয়ে বেড়ানোর জন্য


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন এবং বন্ধুদের সাথে এই অনন্য স্থান সম্পর্কে জানুন।


ফিচার ইমেজ: মোহাম্মদ তারেক আব্দুল্লাহ

Scroll to Top